নিউজ ডেস্ক: বড়লোকদের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা করার অনুমতি না দেওয়ায় সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের উপর চরম ক্ষেপেছেন দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে বেগম জিয়া কারা কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
কারা সূত্রের গোপন খবরে জানা যায়, রাগ সামলাতে না পেরে দেওয়ালে মাথা ঠুকতে থাকেন বেগম জিয়া। এভাবেও রাগ না কমলে হাতের কাছে থাকা কয়েকটি কাঁচের গ্লাস ছুঁড়ে ভেঙ্গে ফেলেন। খালেদা জিয়ার এমন হিংসাত্মক ও আগ্রাসী আচরণে হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
গোপন সূত্রের খবরে জানা যায়, চিকিৎসার নামে ইউনাইটেড হাসপাতালে কিছুদিন বিশ্রাম করতে চেয়েছিলেন বেগম জিয়া। পাশাপাশি লোকচক্ষুর আড়ালে লন্ডনে তারেক রহমানসহ সৌদি আরব ও অন্যান্য আরব দেশের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার অনুরোধ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঈদের পর আন্দোলন-কর্মসূচীর নামে সারাদেশে তাণ্ডব চালানোর চক্রান্ত নিয়ে সিনিয়র নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক করারও কথা ছিল। জানা গেছে খালেদা জিয়া সেখানে ভর্তি হলে, অন্যান্য সিনিয়র নেতারাও রোগী সেজে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মিটিং করার কথাও ছিল। এতসব সাজানো পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় মাথা গরম হয়েছে খালেদা জিয়ার। গরম মাথায় তাই কারাগারে ভাংচুর ও অশোভন আচারণ শুরু করেন।
জানা গেছে, জেল থেকে বের হতে পারলে দায়িত্বে থাকা কারা কর্তৃপক্ষকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বেগম জিয়া। পাশাপাশি কারাবিধি শেখানো জন্য উপযুক্ত সাইজ করারও হুমকি দেন খালেদা জিয়া। রাগের এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত সিনিয়র এক কর্মকর্তার উপর চড়াও হন খালেদা জিয়া। তিনি চিৎকার করে বলেন, চুপ করো বেয়াদব। বাড়ি কোথায়? আমাকে চেন না। আমি খালেদা জিয়া, যাকে টার্গেট করি তার পরিণতি হয় ভয়ংকর। খালেদা জিয়ার এমন হুমকিতে বিব্রত হয়ে পড়েন সেই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমন ব্যবহার আশা করা যায় না। তিনি কারাবিধি ভেঙ্গেছেন।