নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার জগমোহনপুর গ্রামের আক্তার মিয়ার মেয়ে সোনিয়া আক্তারের প্রায় ১২ বছর আগে একই উপজেলার কালিপুর মধ্যপাড়ার মুর্শিদ মিয়ার ছেলে আরমান মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে সোনিয়া তিন সন্তানের মা।
কিন্তু গত ৭ জুলাই সকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কালিপুর গ্রামে স্বামী আরমান মিয়ার বাড়ির কাছে একটি বরুন গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ সোনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ওইদিনেই ভৈরব থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন সোনিয়ার বাবা আক্তার মিয়া।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত সোনিয়ার বাবা আক্তার মিয়া গত শনিবার (১৫ জুলাই) ভৈরব বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আক্তার মিয়া অভিযোগ করেন, মেয়ের লাশ আনতে থানা পুলিশকে ২০হাজার টাকা দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক মাজাহার মেয়ের লাশ আনতে তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করেন। আক্তার মিয়া সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন উপ-পরিদর্শক মাজহারকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি লাশ গ্রহণ করেন।
তবে এসব বিষয়ে কথা হয় ভৈরবের ডোম জিল্লুর রহমানের সাথে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, লাশ নামানো, অ্যাম্বুলেন্সে তোলা ও অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়াসহ নিহত সোনিয়ার খালার কাছ থেকে আমি ১৪ হাজার টাকা নিয়েছি। এর মধ্যে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ আসা যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ৫ হাজার টাকা। আর ৯ হাজার টাকা ভৈরবের ডোম জিল্লুর রহমানসহ ভৈরবের তিনজন ডোম ৩ হাজার টাকা করে নিয়েছি। এসব টাকা আমি মহিলার কাছ থেকে নিয়েছি কোন পুরুষ আমাকে টাকা দেয়নি।
প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। এছাড়া এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলেছেন পুলিশ সুপার।
এসব বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, প্রাথমিকভাবে সবার সাথে কথা বলে জানা যায় এ ঘটনার টাকা লেনদেনের সাথে পুলিশের কোন ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই। এখানে ১৪ হাজার টাকা নিয়েছে ভৈরবের ডোম জিল্লুর রহমান। ডোম জিল্লুর রহমান পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া দিয়েছে ৫ হাজার টাকা আর ৯ হাজার টাকা ডোম জিল্লুর রহমানসহ তার দুইজন সহযোগী সমানভাবে ভাগ করে নিয়েছেন।