সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ সকাল ৯টায়

শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ সকাল ৯টায়

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদুল আজহার ১৯৬তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল সকাল ৯টায়। প্রস্তুত হয়েছে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, জায়নামাজ ছাড়া কোনোভাবেই মোবাইল ফোন, ছাতা, গ্যাসলাইট নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে র‍্যাব, পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল থেকে শহরে কোনো যানবাহন চলাচল করবে না। পাঁচটি গেট দিয়ে মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ করবেন। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে চিকিৎসার জন্য তিনটি মেডিকেল টিম থাকবে, যারা আগত মুসল্লিদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেবে।

এদিকে একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেন। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রাসঙ্গিকভাবেই আসে ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার কথা। আমরা যত পরিকল্পনা করি এবং বাস্তবায়ন করি, এর ওপর বেজ করেই করি। আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে। এ ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছেন তাঁদের নির্মূলে আমাদের কাজ বছরব্যাপী। দেশবাসী ইতিমধ্যে দেখেছেন, ঈদুল ফিতরের নামাজ অত্যন্ত সফলতা ও নিরাপদে করতে পেরেছি। এবারও ঈদুল আজহার নামাজে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে প্রত্যাশা করি। ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, এবারও তা অক্ষুণ্ন থাকবে।’

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ আরও বলেন, ‘একটা কথা বলতে চাই, আমরা মূলত তিনটি সেগমেন্টে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। একটা হলো মানুষ যেন শোলাকিয়া মাঠে নির্বিঘ্নে আসতে পারেন। দ্বিতীয়টি হলো, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। তৃতীয়টা হলো, সারা বছর শোলাকিয়া মাঠ নিরাপদ রাখতে চাই। আগামীকাল ঈদুল আজহার নামাজ শুরু হবে সকাল ৯টায়। যাঁরা নামাজ আদায় করতে আসবেন তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই এবং তাঁদের নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিতে চাই। আমরা ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ২০১৬ সালে পুলিশ যেমন আপনাদের নিরাপত্তার স্বার্থে জীবন দিয়েছে, আমরা সেই পুলিশই আছি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই শোলাকিয়া মাঠ নিরাপদ মাঠ। আপনারা সবাই নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায় করতে আসুন।’

পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ ও র‍্যাবের পাশাপাশি পাঁচ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনসহ কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে আর্চওয়ে, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো মাঠ মনিটরিং করা হবে। বোম ডিসপোসাল টিম, পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম, হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ইউনিটসহ পুলিশের অন্যান্য টিম কাজ করে যাবে। নিরাপত্তাবলয় ভেদ করে ঈদগাহ মাঠে প্রবেশ করতে হবে।

শোলাকিয়া মাঠ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, পৌর মেয়র মো. পারভেজ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আল আমিন হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনতোষ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *