টিটু দাস : কিশোরগঞ্জের হাওরের নয়নাভিরাম দৃশ্য, হাওরের নির্মল বাতাস, মিঠা পানির মাছ মুগ্ধ করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন ও ওনার সহধর্মিণী সেলিনা মোমেনকে। তবে হাওরের আকর্ষণ অলওয়েদার সড়ক দেখে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন ও ওনার সহধর্মিণী সেলিনা মোমেন।
অলওয়েদার সড়ক দেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বর্তমান সরকার সারাদেশে উন্নয়নমূলক কাজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায় হাওরের ৩০ কিলোমিটার অলওয়েদার সড়ক সুন্দর জায়গায় পরিণত হয়েছে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাওরের নয়নাভিরাম দৃশ্য, হাওরের নির্মল বাতাস ও মিঠা পানির মাছের প্রশংসা করেন।
আজ শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টা ৩৮ মিনিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন ওনার সহধর্মিণী সেলিনা মোমেন মিঠামইন থানা ঘাটে পৌঁছালে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
তারপর থানা ঘাট থেকে গাড়িযোগে অলওয়েদার সড়ক দিয়ে অষ্টগ্রাম উপজেলার জিরো পয়েন্টে প্রকৃতির কিছু ছবি তুলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট থেকে ইটনা জিরো পয়েন্টে যাবার পথে ভাতশালা বড় ব্রিজে কিছু ছবি তুলেন। ইটনা জিরো পয়েন্ট ঘুরে মিঠামইন ডাক বাংলোতে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ ব্রিশাম নেন। তারপর বিকেলে মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়ি ঘুরে দেখেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান, অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম, কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার নেলী, অষ্টগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এসএম আজিজুল হক, মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির রব্বানী, মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া, মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব, মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামালসহ প্রমুখ।
তারপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকেল ৫টার দিকে কামালপুরের ঘাট থেকে স্পীড যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তারপর সাড়ে ৫ টার দিকে করিমগঞ্জের বালিখলা ঘাটে এসে গাড়ি যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।