নিজস্ব সংবাদদাতা : কালবৈশাখী ঝড় ও গরম বাতাসে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩ উপজেলার বোরো জমির ধান সাদা হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আজ বুধবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্ত বোরো জমি পরিদর্শন করে গেছেন। এ প্রতিনিধি দল দুপুরে নিকলী উপজেলার হাওর পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের সময় কর্মকর্তারা কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, গরম বাতাসে যেসব বোরো জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব জমিতে পানি রাখতে হবে বা পানি দিতে হবে এবং ১০ লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম পটাশ সার মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করলে যেসব ফসল ভাল আছে সেগুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা কম ।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ ও ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক (ধান) বশির আহম্মেদ সরকার।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন- কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ছাইফুল আলম, নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ভূইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামছুদ্দিন মুন্না, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার (০৪ এপ্রিল) প্রায় তিন ঘন্টার কালবৈশাখী ঝড় ও গরম বাতাসে কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলার ২৫ হাজার হেক্টর বোরো জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।