নিজস্ব সংবাদদাতা : রূপকথার রাজপুত্র পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যায়। পঙ্খিরাজ না থাকলেও ঘোড়ার গাড়ি কিন্তু এখনও আছে। তবে আধুনিক রাজপুত্ররা গাড়িই পছন্দ করেন বেশি। কিন্তু তাদের পথে না হেঁটে ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আশারাফুল আনোয়ার রোজেন।
তিনি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি দৈনিক জনকন্ঠের সাবেক স্টাফ রিপোর্টার, বর্তমানে আর্টিকেল নাইন্টিনে কর্মরত রয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে আশারাফুল নিজ বাড়ি থেকে ঘোড়ার পিঠে চড়ে বরযাত্রা শুরু করেন। পরে একই উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর মেয়ে নববধূ নাবিলাকে নিয়ে পালকিতে করে নিজ বাসায় ফিরে আসেন। ব্যতিক্রমী এ বিয়ে দেখতে তাদের বাড়িতে ভিড় জমান এলাকার শতশত মানুষ।
এ বিয়ের কথা এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে। প্রবীণরা বলছেন, একটা সময় এমন দৃশ্যের কত বিয়ে দেখেছি। আজ যেন হারিয়ে গেছে সেসব স্মৃতি।
ব্যতিক্রমী এ বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বর রোজেন বলেন, ছোটবেলায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে ও পালকিতে বিয়ের কথা অনেক শুনছি। এখন আর বিয়েতে সে রকম আয়োজন হয়না। এটা আমার স্বপ্ন ছিল। আর আমার স্ত্রীরও ইচ্ছে ছিল পালকিতে করে শ্বশুরবাড়ি আসবে। আমি চেষ্টা করেছি তার ইচ্ছাটা পূরণ করার।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আবুল খায়ের গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবু সাইদ চৌধুরী, স্টেট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আনোয়ার কবির রুমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. সাদেকুল ইসলাম, ইউনাইটেড ট্রাস্টের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ এইচ আর ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মোশাররফ হোসেন, চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান মো.শামছুদ্দিন, মইনুদ্দিন প্রমুখ।