নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দানসিন্দুক থেকে নগদ অর্থ পাওয়া গেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা। করোনা পরিস্থিতিতে এবার ৫ মাস ৪ দিন পর খোলা হল এসব দানসিন্দুক।
আজ শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দানসিন্দুক খোলা হয়। প্রথমে দানসিন্দুক থেকে টাকা বস্তায় ভরা হয়। পরে বস্তা খুলে শুরু হয় টাকা গণনার কাজ।
এবার সবচেয়ে বেশি ১৪ বস্তা টাকা জমা হয়েছে সিন্দুকে। এছাড়া পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, মো. উবায়দুর রহমান সাহেল, জুলহাস হোসেন সৌরভ ও মো. ইব্রাহীম, পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুফ কুমার ভদ্র প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। সাধারণত তিন মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় পর দানসিন্দুক খোলা হয়।