নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার কারণে এ বছর ভিন্ন আবহে কিশোরগঞ্জে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ২৭০ বছরের প্রাচীন দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে এ বছর জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। শুধু শোলাকিয়ায় নয়, এবার জেলার কোনো খোলা জায়গায় বা ঈদগাহে জামাতের আয়োজন করা হয়নি।
জেলা শহরের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল ইসলাম।
ঈদের দিন সোমবার (২৫ মে) সকাল ৮টায় ও ৯টায় এই মসজিদে দুটি জামাত হয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
নামাজে শেষে করোনা দুর্যোগ থেকে মানবজাতিকে উদ্ধারের জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তাছাড়া মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয় মোনাজাতে।
একই সঙ্গে জেলা শহরের প্রাচীন পাগলা মসজিদে অনুষ্ঠিত তিনটি ঈদ জামাতেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। তবে তারা কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকেন।
এছাড়া জেলার সব মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় মসজিদে একাধিক জামাতের আয়োজন করা হয়।