নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় চারজন চিকিৎসক ও তিনজন পুলিশ সদস্যসহ আরো ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। সর্বশেষ আক্রান্ত চিকিৎসকরা তাড়াইল, কটিয়াদী, বাজিতপুর ও ভৈরব উপজেলায় কর্মরত। এ নিয়ে জেলায় মোট ১১ জন চিকিৎসক ও পাঁচজন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হলেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২৯ জনের নমুনা পাঠিয়ে ১৮ জনের পজিটিভ আসায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জেলাজুড়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আরো তিনজন চিকিৎসক ও দুজন নার্সসহ ১১ জন আক্রান্ত ছিলেন। তাদের মধ্যে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন চিকিৎসক ও একজন নার্স, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক ও করিমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্সের শরীরে করোনা পাওয়া যায়।
এছাড়া ভৈরব থানার দুই উপ-পরিদর্শক ও তিনজন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছে।
এর আগে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন চিকিৎসক ও কিশোরগঞ্জ সদরে একজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নমুনা পরীক্ষার জন্য মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) এ পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৮ জনের কভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।
এই ১৮ জনের মধ্যে বাজিতপুরে দুজন, কুলিয়ারচরে তিনজন, তাড়াইলে দুজন, ভৈরবে পাঁচজন, মিঠামইনে তিনজন, কটিয়াদীতে একজন, নিকলীতে একজন ও অষ্টগ্রামে একজন রয়েছেন।
উপজেলাওয়ারী হিসেবে ভৈরব উপজেলায় সর্বোচ্চ ১০ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৮ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ২ জন, ইটনা উপজেলায় ৬ জন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৩ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৫ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৬ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২জন, মিঠামইন উপজেলার ৩ জন, নিকলী উপজেলায় ১ জন, অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১ এবং হোসেনপুর উপজেলার ১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।