নিজস্ব সংবাদদাতা : পড়াশোনায় মন বসত না কিশোর নাতির (১৪)। স্কুলে না গিয়ে সারা দিন বাসায় বসে থাকত সে। নানি জয়নব বিবি (৭০) সে জন্য প্রায়ই বকাঝকা করতেন তাকে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে নাতি। খুনের পর লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এ সময় মামা দেখে ফেললে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করে সে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজ রোববার পুলিশের কাছে এসব কথা স্বীকার করেছে কিশোর নাতি। আটকের পর আজ রোববার সন্ধ্যায় তাকে একমাত্র আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহত জয়নব বিবির ছেলে আবদুর রউফ। গতকাল শনিবার ওই ঘটনার পর পুলিশ জয়নবের লাশ উদ্ধার করে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কিশোরকে থানায় নিয়ে যায়। আজ রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আটক কিশোর ও তাঁর স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই কিশোর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে নানি জয়নব ও মামা দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে থাকত। পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় প্রায়ই তাকে বকা দিতেন নানি জয়নব। এ কারণে নানির প্রতি তার মনে বিদ্বেষ তৈরি হয়। শনিবার সকালেও পড়াশোনা নিয়ে তাকে বকা দেন জয়নব। পরে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নানিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সে। এতে ঘটনাস্থলেই নানি জয়নব মারা যান। পরে নানির লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে সে। এ সময় মামা দেলোয়ার সেটি দেখে ফেললে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করে। নিজেকে বাঁচাতে পুলিশের কাছে সে বলে, কয়েকজন সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে দেয়াল টপকে তার নানি ও মামার ওপর হামলা চালায়। পরে সে সন্ত্রাসীর এক হাতে কামড় দিলে রক্তমাখা ছুরি ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় তারা।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ওই কিশোরের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। বারবার জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে খুনের কথা স্বীকার করে। পড়াশোনা নিয়ে বকা দেওয়ায় তার মনে ক্ষোভ জন্মায়। সেই ক্ষোভ থেকেই নানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে বলে জানিয়েছে ।