নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জে নাতিকে মারধরে বাধা দেয়ায় মেয়ের জামাতার ছুরিকাঘাতে প্রাণ দিতে হলো শ্বাশুড়ি হালিমাকে। আজ বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলি এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেয়ের জামাই মো. হাবিবুর রহমান রনিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
পুলিশ জানায়, তিন বছর আগে দানাপাটুলি গ্রামের সৌদী প্রবাসী সায়েম উদ্দিন ও গৃহিনী হালিমা খাতুনের মেয়ে রীমার বিয়ে হয় একই এলাকার মনোহরপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান রনির সাথে। বিয়ের পর থেকে নেশাখোর স্বামী রনি তার স্ত্রী রীমাকে মারধর করতো। এ জন্য কিছুদিন ধরে আড়াই বছরের শিশুসন্তানসহ বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন রীমা। দুপুরে শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী রীমার সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন হাবিবুর রহমান রনি। এক পর্যায়ে তার শিশুপুত্র আনন্দকে মারধর করতে থাকলে বাধা দেন শ্বাশুড়ি হালিমা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হালিমাকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে রনি। আশংকাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ দিকে হত্যার পর ছুরি হাতে পালানোর সময় এলাকার লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে।
পুলিশ নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।