সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / মতামত / সাদা মনের মানুষ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই

সাদা মনের মানুষ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই

মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও সহকারী একান্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাই (৬৭) এর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। নিভৃতচারী মানুষটি আমৃত্যু দেশ এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এলাকার উন্নয়ন ও শিক্ষা বিস্তার থেকে শুরু করে সামাজিক-সাংস্কৃতিক চেতনার উন্মেষ ঘটাতে তিনি ছিলেন নিরলস এক কর্মবীর।

নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জের মানুষের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন প্রিয় ‘হাই ভাই’ হিসেবে। স্বভাবতই তাঁর মৃত্যুর খবর প্রচারের সাথে সাথে কিশোরগঞ্জ জেলার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

একজন সৎ, বিনয়ী, সদাচারী ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিল সর্বত্র। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাই তাঁর সরলতা ও সহজিয়া চরিত্রের জন্য আত্মীয়-স্বজন ও বড় ভাইয়ের কাছে ছিলেন কাছের ও প্রিয় মানুষ।

প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই পারিবারিক জীবনে সুখী ও সফল মানুষ ছিলেন। তিনি স্ত্রী, প্রকৌশলী পুত্র, এক ডাক্তার কন্যা ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক কন্যা রেখে গেছেন।

তাঁর স্ত্রী নাহিদ পারভীন প্রিমরোজ কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রাইমারি স্কুলের প্রিন্সিপাল। তার প্রকৌশলীপুত্র শেখ মো. ফারাবি আমারপিসি.কম নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত। বড় মেয়ে ডা. সুমাইয়া ফাজরিন পরিবার পরিকল্পনার মেডিকেল অফিসার এবং ছোট মেয়ে মিম সাহরীন জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট ইউনিভার্সিটি ইন অ্যাপ্লাইড সাইন্সে এমএসসি করছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, বিআরডিবি’র সভাপতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রবাহ’ এর সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ ও হাজী তায়েব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এলাকার উন্নয়নে তিনি বিপুল অবদান রেখেছেন।

সৎ, বিনয়ী, সহজীয়া সাদা মনের মানুষটির মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীর বেদনা ও শূণ্যতা অনুভব করছি। তাঁর মতো এমন মহৎপ্রাণ সমাজে বিরল। আমি গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।

আগামী রবিবার দুপুর ৩ টায় জেলার মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে পারিবারিক কবরস্তানে পিতা-মাতার কবরের পাশে দাফন করা হবে। তাঁর জানাজায় অংশ নিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রবিবার দুপুর ২টা থেকে ২.৩০ টার মধ্যে ছোট ভাইয়ের মরদেহের সাথে জন্মস্থান কামালপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছবেন এবং তিনি তাঁর ছোট ভাই’র জানাজা , দাফন ও দোয়ায় অংশ নিবেন।

পরিশেষে বলি, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ছিলেন কিশোরগঞ্জবাসীর একজন প্রকৃত বন্ধু। আপনাকে কিশোরগঞ্জবাসী শ্রদ্ধা-ভালবাসায় স্মরণ করবে।

# অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক: সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগ, সভাপতি জেলা আইনজীবী সমিতি ও পিপি, কিশোরগঞ্জ।