সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / মতামত / শিশুকাল থেকেই নৌকার মিছিল করে এসেছি

শিশুকাল থেকেই নৌকার মিছিল করে এসেছি

কামাল হোসেন চৌধুরী : যখন থেকে বুঝতে শেখেছি তখন থেকেই নৌকার স্লোগান ধরে মিছিল করেছি,যখন ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়েছি তখন থেকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আসছি।

আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত হওয়ায় সব সময় নৌকা প্রতীকেই সমর্থন করে এসেছি। আর আমাদের এলাকায় সব সময় নৌকা প্রতীক জয়লাভ করেছে। আমাদের এলাকায় মানে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে নৌকা প্রতীকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মহোদয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এ আসনটি শূন্য হলে উপ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য হাওর বন্ধু জননেতা রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক মহোদয় বিজয়ী হয়ে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।প্রিয় নেতাদের পাশে থেকে আমি ও আমাদের পরিবারের সবাই নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট দিয়ে আসছি এ কথাগুলো বলেছিলেন জেলা কৃষক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন চৌধুরী।

কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি পর্যন্ত যতগুলি জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেছে সকল নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে আমার পরিবার। স্বাধীনতা সংগ্রামেও আমাদের পরিবারের অনেক অবদান আছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমার চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন। ইটনা ক্যাম্পে থাকাকালীন সময়ে আমার আব্বা মফিজ উদ্দিন চৌধুরী প্রায়ই আমাদের বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে যেতেন। এ বিষয়ে তৎকালীন সংসদ সদস্য ও বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মহোদয়সহ আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা অবগত আছেন।
এছাড়া মিঠামইন উপজেলার প্রতিটি মানুষ অবগত আছেন আমার মামারাও আওয়ামীলীগ পরিবারের আমার বড় মামা ফজলুল হক চৌধুরীও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
আমার ছাত্র জীবনের কথা যদি বলি আমি যখন আমাদের কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজে লেখাপড়া করি তখন আমাদের মিঠামইন উপজেলার বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব,গুরুদয়াল ছাত্র সংসদের এজিএস অ্যাডভোকেট ফরিদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ময়না ভাইসহ আমাদের ভাটি অঞ্চলের বড় ভাইদের পাশে থেকে ছাত্রলীগের মিটিং মিছিলে অংশগ্রহণ করেছি।
আমার লেখাপড়া চলাকালীন সময় ১৯৯৫ সালের ০৭ মার্চ ছাত্রলীগ নেতা ময়না ভাইয়ের সহযোগীতায় বিদেশে চলে যাই। বিদেশে থাকা অবস্থায় ২০০১ ও ২০০৮ সালে যে দুইটি নির্বাচন হয়েছে আমি আমার এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের পাশে থেকে নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করেছি। আমার বড় ভাই মারা যাওয়ার পর আমি পরিবারের কথা মতে আমি ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি নিয়মিত দেশে আছি।বেকার সময় কাটানোর জন্য আমাদের কিশোরগঞ্জ শহরে ২০০৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করি। ব্যবসার পাশাপাশি আমাদের কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমানে মাননীয় সংসদ সদস্য হাওর বন্ধু জননেতা রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ভাইয়ের পাশে থেকে আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে দলীয় মিটিং মিছিলে সততার সহিত কাজ করে যাচ্ছি।
আর যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন বঙ্গবন্ধু আদর্শ স্বাধীনতার পক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হাওর বন্ধু জননেতা রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক মহোদয়ের পাশে থেকে সাধারণ জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাবো।

কামাল হোসেন চৌধুরী প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, গত ০২ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় “ওরা সবাই এখন আওয়ামী লীগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদে কিশোরগঞ্জে অংশে কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন চৌধুরী মানে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদে আমাকে মানুষের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। আমি কখনো বিএনপি বা বিএনপির কোন অঙ্গ সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলাম না। আমি এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

কামাল হোসেন চৌধুরী,

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা কৃষক লীগ, কিশোরগঞ্জ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *