সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / আইনের আশ্রয় নিয়ে হিতে বিপরীত!

আইনের আশ্রয় নিয়ে হিতে বিপরীত!

কুলিয়ারচর প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার  কাঞ্চনমিয়া (৬৫) প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র থাকা সত্তেও পেশীশক্তির অভাবে নিজ ভূমিতে নিজে দোকান উত্তোলন করতে পারেননি। তাই তিনি আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ন্যায় বিচারের আশায়। কিন্তু হিতে বিপরীত, আদালত ১৪৪/১৪৫ধারা জারি করলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান তৈরী করে ভাড়াও দিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ।

উপজেলার দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামের কাঞ্চন মিয়া জানান, দ্বাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড মসজিদ সংলগ্ন পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত তার ১১শতাংশ জমি রয়েছে। একই গ্রামের শাহনেওয়াজ আলী (৫০) ওই জমিতে দোকান ঘর উত্তোলনের পায়তারা করলে ১৪৪/১৪৫ধারা জারির জন্য সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত তার আবেদনটি আমলে নিয়ে কুলিয়ারচর থানার ওসিকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত অবস্থা দেখা দেয়। আদালত ১৪৪/১৪৫ধারা জারির পর শাহনেওয়াজ বিবদমান জায়গায় দোকান ঘর উঠিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার কাছে দোকান ঘরটি ভাড়া দিয়ে দেয়। প্রতিকার পেতে থানায় যোগাযোগ করা হলে তাকে পাত্তাই দেওয়া হয়নি।
করোনাকালে আদালত বন্ধ থাকায় কাঞ্চন মিয়া তার জায়গা জমি ফিরে পেতে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে ন্যায় বিচারের দাবীতে ঘুরলেও কোন কুলকিনারা পাচ্ছেন না। কাঞ্চন মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন, ১৪৪/১৪৫ধারা জারির পরও প্রতিপক্ষ শাহনেওয়াজ দোকান ঘর উত্তোলনের কাজ শুরু করলে বিষয়টি মৌখিক ভাবে থানায় অবহিত করি। কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাইনি। এরপর সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে গিয়েছি কিন্তু কোন কুলকিনারা পাচ্ছি না।

দ্বাড়িয়াকান্দি বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ আরশ মিয়া বলেন, জায়গাটি নিয়ে মামলা চলছে জানি। এতদিন জায়গাটি ফাঁকা ছিল। ১০-১৫দিন আগে জায়গাটিতে শাহনেওয়াজের পক্ষের লোকজন দোকান উত্তোলন করে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কুলিয়ারচর থানার ওসি একেএম সুলতান মাহমুদ বলেন, এটি আদালতের বিষয়, বাদী আদালতেই যোগাযোগ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *