নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছুরিকাঘাতে এক কয়লাশ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম এহসানুল হক (২২)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাটগাঁও গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে। গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ভাতিজা আজিজুল হককে (২০) বাঁচাতে গিয়ে মারা যান তিনি।
আহত আজিজুল ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভৈরবে কয়লার মোকাম আছে। কয়লাশ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য এহসানুল দুই সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকে ভৈরবে আসেন। কয়লার মোকামে তাঁর ভাতিজা আজিজুলও কাজ করেন। দুজনই বাড়ি যাবেন বলে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসস্ট্যান্ডে যান। ওষুধ কেনার জন্য আজিজুল একটি ফার্মেসিতে যাওয়ার পথে দুজন তাঁর গতিরোধ করে। তাঁকে মারধর করার সময় বিষয়টি এহসানুলের চোখে পড়ে। আজিজুলকে বাঁচাতে এহসানুল এগিয়ে যান। তখন দুর্বৃত্তরা তাঁর বুক ও পায়ে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় এহসানুলকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
আজিজুল হক বলেন, ‘তারা আমাকে ধরেই মারধর শুরু করে। তখন আশপাশে অনেক মানুষ ছিল। চিৎকার করলেও কেউ আমাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। শেষে আমার চাচা (এহসানুল) আসে।’
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, ঘটনার বর্ণনা ও ধরন শুনে কোনোভাবেই মনে হচ্ছে না বিষয়টি ছিনতাই–সম্পর্কিত ছিল। কারণ, দুর্বৃত্তরা কারও কাছ থেকে কিছু নেয়নি। আজিজুল সবকিছু দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তাও নেয়নি। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অন্য কাউকে মারার জন্য দুর্বৃত্তরা এসেছিলেন। আজিজুল ও এহসানুল তাদের ভুল টার্গেটের শিকার হয়ে থাকতে পারেন।