হাওরে সাঁতার কাটতে গিয়ে কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু, শিক্ষার্থী নিখোঁজ

নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও মিঠামইন উপজেলার সীমান্তবর্তী হাসানপুর সেতুর কাছে সাঁতার কাটতে গিয়ে একেই পরিবারের তিনজন গভীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
এদের মধ্যে টাঙ্গাইলের সখিপুর আবাসিক মহিলা কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চরপুক্ষিয়া গ্রামের  মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে হাদিউল ইসলাম রুবেল (৩৩)কে মৃত এবং তার চাচাতো ভাই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহান শোভন (১৭) কে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় ডুবুরি দল।
শোভনের বড় ভাই কিশোরগঞ্জের ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভকে উদ্ধারের কাজ চলছে।
শোভন ও সৌরভ একই গ্রামের চরপুক্ষিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাইমুল ইসলামের ছেলে।

উদ্ধার হওয়া স্কুল শিক্ষার্থী শোভনকে চিকিৎসার জন্য মুমূর্ষু অবস্থায় বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুরে ৮ টি মোটরসাইকেল যোগে কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চরপুক্ষিয়া গ্রামের ১৬ জন তরুণ-যুবক একই জেলার করিমগঞ্জ ও মিঠামইন উপজেলার সীমান্তবর্তী হাসানপুর ব্রিজ হাওর পর্যটন এলাকায় আনন্দ ভ্রমণে যায়।
সেখানে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ভাড়া নিয়ে ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যার আগে হাসানপুর ব্রিজের পূর্ব প্রান্তের করিমগঞ্জ উপজেলার সীমানায় প্রবল স্রোতের পানিতে সাঁতার কাটতে নামে।
এক পর্যায়ে প্রবল স্রোতের টানে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় একেই পরিবারের তিনজন।

এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে কটিয়াদী উপজেলার চরপুখিয়া গ্রাম জুড়ে শোকের মাতম বইছে।

নিহত কলেজ প্রভাষক খাদিউল ইসলাম রুবেলের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

প্রভাষক হাদিউল ইসলামের স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিশাত তামান্না স্মৃতি এবং করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. মমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।