সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / কিশোরগঞ্জে বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু

কিশোরগঞ্জে বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জ জেলার সকল থানা এলাকায় অপরাধ কমানো ও পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ বিপিএম (বার) এর নির্দেশে ও পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) এর উদ্যোগে জেলার ১৩টি থানায় ১৩৩টি বিটে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

অপরাধ নির্মূল ও মানুষের ছোটখাট সমস্যার সমাধান করা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও পুলিশকে মানুষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এই বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলায় মাদক নির্মুল, ছিনতাই প্রতিরোধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, বিট পুলিশিং হলো কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক বা বিশেষ পুলিশ সদস্যদের স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করা। থানা এলাকাগুলোকে কয়েকটি বিটে ভাগ করে প্রত্যেক বিটের দায়িত্ব স্থানীয় অবস্থিত পুলিশ অফিসারের নিকট ন্যস্ত করা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নকে একটি বিট হিসাবে ধরা হয়েছে।

এই লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ জেলাকে সর্বমোট ১৩৩টি বিটে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে পৌরসভা পর্যায়ে বিটের সংখ্যা ২৫টি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে বিটের ১০৮টি।

প্রতিটি বিট পুলিশিং এর সদস্য সংখ্যা ৫ জন। একজন এসআই থাকবেন বিট অফিসার হিসাবে, একজন এএসআই থাকবেন সহকারী বিট অফিসার হিসাবে এবং তিনজন কনস্টেবল থাকবেন সদস্য হিসাবে।

বিট পুলিশিং এর সদস্যগণ এলাকাবাসীদের সাথে স্থানীয় সুখ-দুঃখের অংশীদার হবেন। বিট পুলিশিং এর সদস্যরা এলাকায় কেবল আইন প্রয়োগ বা শৃংখলা রক্ষায় এলাকার সমস্যার সমাধানে নিয়ামক শক্তি প্রভাবক হিসাবে কাজ করবে।

প্রাথমিকভাবে মাদক নির্মূল, ছিনতাই প্রতিরোধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়ন ও সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এই পাঁচটি লক্ষ্য নিয়ে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু হয়েছে।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) বলেন, বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে পুলিশের সঙ্গে জনগণের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে। পুলিশ-জনগণের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস পাবে। প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণ তাদের প্রয়োজনে সহজেই পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাক্ষাৎ করতে পারবেন। জনগণ তাদের সমস্যাবলি খুব সহজেই পুলিশকে জানাতে এবং প্রতিকার চাইতে পারবেন। এতে করে খুব সহজে এবং কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়া জনগণ আরো বেশি মানসম্মত সেবা পাবেন।

পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) জানান, আগামী সম্ভাবনাময় উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশের সাথে জনগণের পারষ্পরিক তথ্য আদান প্রদান করে সমাজ থেকে অপরাধ দূর করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *