সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / করোনার দিনে মানুষের পাশে এমপি তৌফিক

করোনার দিনে মানুষের পাশে এমপি তৌফিক

টিটু দাস : অভাবের দিনে করোনার সংক্রমণ ও আতঙ্কে হাওরাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী যখন দিশেহারা, তখন আশার আলোকবর্তিকা হয়ে ছুটছেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কৃষকদের ঘরে পৌছে দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিতরণ করছেন হ্যান্ড সেনিটাইজার, থার্মাল গান, মাস্ক, গগলস, হেডক্যাপ, গ্লাভস ও স্যাভলন ইত্যাদি জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী। চিকিৎসকদের দিচ্ছেন পিপিই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌছে দিচ্ছেন থার্মাল গানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা সরঞ্জাম। তার এ উদ্যোগ বিশেষভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। অন্ধকারে আলোর দিশা পাচ্ছেন প্রান্তিক দরিদ্ররা।

এমনিতেই কৃষিজীবী হাওরবাসীর প্রতি বছরের ফাল্গুন-চৈত্র মাসে অভাব থাকে। তারওপর করোনা ভাইরাসের হানা কৃষকদের মাথায় মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম ঘুরে দেখা যায়, হাওরের যতদূর চোখ যায় দেখা যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এ যেন সবুজের সমারোহ। আর ১৫-২০ দিন পরেই সবুজের মাঠে দোল খাবে সোনালী ধান এবং শুরু হবে ধান কাটা। কিন্তু সবকিছুই যেন থকমে গেছে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে। কৃষকরা অনেকটাই ঘরবন্দি। আর ঘরবন্দি মানুষদের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, আলু, সাবান ও সয়াবিন তেল) পাঠাচ্ছেন সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। দুর্দিনে এসব সহায়তা পেয়ে কৃষকরা খুশি।

মিঠামইন কামালপুর গ্রামের কৃষক ফজলু মিয়া বলেন, আমি ৪ একর জমিতে ধান চাষ করেছি । এই করোনা ভাইরাসের জন্য এখন ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় আছি। এমপি সাহেব আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা সাহস ফিরে পাচ্ছি।

কৃষকদের সহায়তার পাশাপাশি এমপি তৌফিক ব্যক্তিগত উদ্যোগে অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি থার্মাল গান, ১৮০টি পিপিই ও পর্যাপ্ত পরিমাণে হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্ক, সুকভার, গগলস, হেডক্যাপ, গ্লাভস ও স্যাভলন বিতরণ করেছেন।

এমপি তৌফিকের চিকিৎসা সরঞ্জাম হাতে পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: অতিশ দাস রাজীব বলেন, নিরাপত্তা সরঞ্জাম পেয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে।

নিজের উদ্যোগ সম্পর্কে এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগতভাবে দিন মজুর, খেটে খাওয়া মানুষদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করেছি এবং তিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিপিই-থার্মাল গানসহ নিরাপত্তার সরঞ্জাম সরবরাহ করেছি ।