নিজস্ব সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইদ্রিস মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে আহত অবস্থায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের কূর্শা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের নাহিরাজপাড়া গ্রামের এক হোটেল ব্যবসায়ীর মেয়ে জাফরাবাদ কূর্শা গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে শিশুটির মায়ের চাচাতো ফুফা নাহিরাজপাড়া গ্রামের মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে ইদ্রিস মিয়া মেয়েটির নানার বাড়িতে রাত্রিযাপন করে।
গভীর রাতে শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে ইদ্রিস মিয়া। শিশুটি ভয়ে এ কথা তার নানিকে বলেনি। পরে গোসল করানোর সময় শিশুটির শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কামড়ের দাগ দেখে জিজ্ঞেস করার পর সে নানির কাছে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করলে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ইদ্রিসকে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
করিমগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার ইদ্রিস মিয়া ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এদিকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া জানান, মেয়েটি এখনও আতঙ্কে আছে। স্বাভাবিক হতে পারছে না। তবে তার শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো।