সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৬

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৬

নিজস্ব সংবাদদাতা : ঘুর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে এক শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার (০৩ মে) দুপুরে জেলার মিঠামইন উপজেলায় দুইজন, পাকুন্দিয়া ৩ জন ও ইটনায় ১ জন বজ্রপাতে মারা যান।

নিহতরা হলেন- মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের এবাদ মিয়ার শিশু ছেলে সুমন মিয়া (৭), একই উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২৩), ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের রাখেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস (২৬), পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামের মৃত আয়াছ মিয়ার ছেলে আসাদ মিয়া (৪৫), একই উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের আলগিরচর গ্রামের হালিম উদ্দিনের মেয়ে নূর নাহার (৩০) ও একই গ্রামের ইমতেজ আলীর ছেলে মুজিবুর (৩৫)।

পুলিশ সুত্র জানায়, দুপুরে মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের সুমন মিয়া হাওরে গরু নিয়ে ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে সুমন মিয়া মারা যায়। এদিকে একই উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের মহিউদ্দিন খলায় ধানের কাজ করার সময় বজ্রপাতে মহিউদ্দিন আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন মহিউদ্দিনকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কাকাইজেও এলাকায় মারা যায়। এদিকে ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের হাওর থেকে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে রুবেল গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার আসাদ মিয়া বাড়ির সামনের জমিতে ঘাস কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টিপাত শুরু হলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের আলগিরচর গ্রামে বাড়ির পাশে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নূর নাহার ও মুজিবুর ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির রব্বানী, ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুর্শেদ জামান ও পাকুন্দিয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *