সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / ভাতিজার ‘অভিযোগ-সন্ত্রাসে’ অস্থির ইউএনও’র নাজির

ভাতিজার ‘অভিযোগ-সন্ত্রাসে’ অস্থির ইউএনও’র নাজির

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ ভাতিজার ’অভিযোগ-সন্ত্রাসে’ স্বস্তিতে চাকরি করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ইউএনও অফিসের নাজির আতাউর রহমান খান। জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ও মনগড়া অভিযোগ দিয়ে তদন্তের মুখে ফেলে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর।

বুধবার (০৩ মে) সকালে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

জেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাজির আতাউর রহমান খান বলেন, স্রেফ ঈর্ষা ও পারিবারিক বিরোধ থেকে তার ভাতিজা মো. মুহিত উদ্দিন খান একগাদা কল্পিত অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে বিলি করছেন। জেলা প্রশাসনে দেওয়া অভিযোগটির তদন্ত হয়েছে। আশা করি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে। তিনি বলেন, কয়েকদিন পরপর যদি আমাকে নানা অভিযোগের জবাব লিখতে হয়, তাহলে কাজ করব কিভাবে। এই সরকারি কর্মচারির ভাষ্য, সরকারি চাকরিতে থাকলে চাকরিবিধি মানতে হয়। তাদের জীবনাচরণ ও প্রতিক্রিয়াও চাকরিবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে চলে না। তাই সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়ার মতো তারা প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন না। আর এটাই তাঁর দুর্বলতা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাজির আতাউর রহমান খানের বাড়ি জেলার তাড়াইল উপজেলার পূর্ব দড়িজাহাঙ্গীরপুর গ্রামে। তিনি এখন আর গ্রামে থাকেন না। তাঁর ভাই মৃত মোতাহার হোসেন খানের ছেলে মুহিত উদ্দিন খান ওই গ্রামে থাকেন।

সংবাদ সম্মেলনে নাজির বলেন, মুহিতদের অত্যাচার নির্যাতনে বাধ্য হয়ে আমি বাড়ি ছেড়ে জেলা শহরে ভাড়া বাসায় থাকি। তাদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে পূর্ববিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা থাকার কথাও স্বীকার করেন নাজির। তাছাড়া মুহিতের বিরুদ্ধে এলাকায় সরকারি খাস জায়গা দখল, ভূমি দস্যুতা, সন্ত্রাস, অভিযোগবাজি, চাঁদাবাজি ও মামলাবাজির অনেক অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ইন্ধনে সে দিনের পর দিনে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে নাজির আতাউর রহমান ছাড়াও বড়ভাই মাহবুবুর রহমান খান, ভাতিজা নাজিবুর রহমান খান, প্রতিবেশী লিয়াকত আলী ও সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে করিমগঞ্জ ইউএনও অফিসের নাজির আতাউর রহমান খানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে ভাতিজা মুহিত উদ্দিন খান। সেখানে তিনি তার চাচার বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে আতাউর রহমান খান বলেন, এগুলো সবই ভিত্তিহীন ও কল্পিত। আমাকে হেয় ও হয়রানি করতেই সে এগুলো করছে।

এদিকে এসব বিষয়ে করিমগঞ্জের ইউএনও পলাশ কুমার বসু বলেন, এ ধরণের কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *