সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / কিশোরগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ

কিশোরগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ

নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জে হাওরে নির্ধারিত সময়ের আগেই বোরো ফসল রক্ষা বাঁঁধের কাজ শেষ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে এ বছর কিশোরগঞ্জের হাওরে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। আর বাঁধ নির্মাণে ৭৬ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়েছিল।

সরেজমিনে হাওর ঘুরে দেখা যায়, হাওরে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ সবুজের সমারোহ। কিছুদিন পরই সবুজ ধান রং বদলে ধারণ করবে সোনালী রং। এ বছর কিশোরগঞ্জের হাওরে বোরো আবাদ করা হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমিতে। তবে আগাম বন্যায় জমির ফসল সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে পারবেন কিনা এ নিয়ে প্রতি বছরেই দেখা দেয় আশঙ্কা। কারণ ২০১৭ সালে কিশোরগঞ্জের হাওরে পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে পানির নিচে তলিয়ে যায় কৃষকের হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমির ধান। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। তারপর ২০১৮ সাল থেকে হাওরের কৃষকদের সেই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় ঝুকিপূর্ণ স্থানে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। আগাম বন্যা থেকে ফসল রক্ষা করতে এ বছর কিশোরগঞ্জের হাওরে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। আর এ জন্য ৭৬ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে ধাপে ধাপে বাঁধের কাজ শেষ হয় এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এরমধ্যেই বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে।  বাঁধের কাজ শেষ হওয়ায় আশংকামুক্ত হাওরের কৃষকরা। ইটনা উপজেলার বড়িবাড়ী ইউনিয়নের বড়িবাড়ী গ্রামের কৃষক রমজান আলী ও মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের কৃষক ছেনু মিয়া বলেন, ২০১৭ সালের আগাম বন্যায় আমাদের একমাত্র বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে যায় এবং ঘরে এক মণ ধানও ঘরে তুলতে পারিনি। বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় আমাদের একমাত্র ফসল আর পানির নিচে তলিয়ে যাবে না।

কিশোরগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। বাঁধের কাজ শেষ হওয়ায় আগাম বন্যা থেকে হাওরের ফসল রক্ষা পাবে এবং হাওরের কৃষকরা তাদের একমাত্র বোরো ধান ঘরে তুলতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *