নিজস্ব সংবাদদাতা : দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। ওজন প্রায় ১৪৮০ কেজি। চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া নবাবের মতো। তাই কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের এক খামারি শখ করে কালো রঙ্গের সুঠাম দেহী গরুর নাম রেখেছে করিমগঞ্জের নবাব। দাম হাকাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা। ঈদের প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা যোগাযোগ করছেন গরুটি কেনার জন্য ।
খামারি মো. সমরাজ মিয়া জানান, দেশি জাতের এই গরুটি প্রস্তুত করেছেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার রাজকুনতি গ্রামের সমরাজ মিয়া । তিন বছর আগে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া গরুর হাট থেকে গরুটি কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তারপর থেকে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গুরুটি মোটাতাজা করেন। বিশাল আকৃতির গরুটি ২০ লাখ টাকা হলে বিক্রি করতে চান। গরুটি দেখতে দূর-দূরান্ত ছুটে আসছে মানুষ এবং ভারতীয় গরু দেশে না ডুকলে দেশি গরুর ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: নজরুল ইসলাম জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় এ বছর ৮১ হাজার ৩৩৭ টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও অসুস্থ গরুর চেনার জন্য প্রদর্শনীস্থানে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে এবং ৪৭ টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।