সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / পাঁচশো অসহায়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, তদন্ত কমিটি গঠন

পাঁচশো অসহায়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিগত পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার নগদ অর্থ প্রদানের পাঁচ শতাধিক নামের ভুয়া তালিকা প্রস্তুত করে অর্থ আত্মসাত করেছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক আহম্মদ।

এ ইউনিয়ন পরিষদের তিন ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউএনও মো. রফিকুল আলম।

অভিযোগকারী তিন ইউপি সদস্য হলেন, অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেশেম মিয়া ও ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. বাবুল মিয়া।

বুধবার (২৩ জুন) ইউএনও’র কাছে তারা লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিগত পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে সরকার এ বছর প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেন।

কিন্তু অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ নিজস্ব ব্যক্তিদের নামসহ ভুয়া তালিকা করে তাদেরকে নগদ অর্থ না দিয়ে পাঁচ শতাধিক নামের টাকা আত্মসাৎ করেন।

অভিযোগকারী ইউপি সদস্য মো. রেশেম মিয়া, মো. বাবুল মিয়া ও মো. গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ জানান, বিগত ঈদুল ফিতরের আগে প্রথম ধাপে এক হাজার জন মানুষকে ৪৫০ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।

কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে ৫শ’ জন মানুষকে ৫শ’ টাকা করে বিতরণের বিষয়টি চেয়ারম্যান গোপন করেন। তিনি ভুয়া নামের তালিকা তৈরি করে ৫শ’ জন মানুষের জন প্রতি ৫০০ টাকা করে বিতরণ না করে সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

শুরুতে তারা তালিকার বিষয়টি জানতেই পারেননি। পরে খোঁজ নিয়ে চেয়ারম্যানের আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযোগ করেছেন।

ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে চেয়ারম্যান সাহেব আমার কাছে এসে বিষয়টি গোপনে শেষ করার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় তার অনুরোধ না রেখে জনগণের টাকা জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

এ ঘটনার সাথে ইউপি সচিবও জড়িত রয়েছে বলে তিনি জানান।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ জানান, অর্থ সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। ফলে মাস্টাররোল এখনও জমা দেওয়া হয়নি। তাই আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে তদন্ত শেষে দ্রুত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *