নিজস্ব সংবাদদাতা : হাওর অঞ্চলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করতে চায় পরিকল্পনা কমিশন। মাটি ভরাটের রাস্তা নির্মাণের পরিবর্তে এলিভেটেড রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব করেছে কমিশন। ‘সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন’ শিরোনামে পরিপত্রে নতুন এসব প্রস্তাব ঢুকানো হয়েছে। সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে এসব প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সংশোধিত পরিপত্রটি শিগগিরই অনুমোদন পাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে পরিপত্রটি সংশোধন করা হয়েছিল। মূলত, এই পরিপত্রের আলোকেই সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে থাকে।
কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, হাওরের স্বকীয়তা বজায় রাখার পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
সংশোধিত পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, যেখানে–সেখানে সেতু নির্মাণ করা যাবে না। জরুরি কোনো সেতু নির্মাণ করতে হলে আগে নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা বিবেচনায় নিয়ে সেতুর উচ্চতা ঠিক করতে হবে। তা ছাড়া সেতুর নকশা এমনভাবে করতে হবে, যাতে নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত না হয়। নদী পুনঃখনন ও ড্রেজিংয়ের সময় সেতু ক্ষতির মুখে না পড়ে।
বিজ্ঞাপন
কমিশন বলছে, এখন এমনভাবে সেতু নির্মাণ করা হয়, নিচ দিয়ে নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। ড্রেজার নেওয়া যায় না।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, রেললাইন নির্মাণ, মহাসড়ক নির্মাণ, আবাসন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য কোনোভাবেই ফসলি জমি থেকে মাটি নেওয়া যাবে না।
ড্রেজিংয়ের ফলে যেসব মাটি পাওয়া যায়, তা দিয়ে উন্নয়নকাজ করার কথা বলা হয়েছে।
মহাসড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, টানেল ও সেতুকে টেকসই করতে ওজন পরিমাপক যন্ত্র বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছে পরিপত্রে।