সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / মিঠামইনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি

মিঠামইনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ১০ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
রোববার (২৫ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, প্রাথমিকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত ৯ জনকে ১০ হাজার করে ও নিহত একজনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা সরকারি সহায়তা দেয়া হয়েছে।

এদিকে সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিফাই বেগম (৬২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড কসমেটিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের টিকিৎসাধীন অপর ৭ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের আবদুস সালামের বাড়িতে রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে একই পরিবারের ৪ নারী, দুই শিশুসহ ১০ জন দগ্ধ হন। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে ৮ জনকে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সবাইকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
রোববার ঢাকা বিভাগের কমিশনারের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক। এতে উল্লেখ করা হয়, মিঠামইন উপজেলার কাঠখাল গ্রামের একটি বাড়িতে রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ১০ জন গুরুতর দগ্ধ হন। তারা হলেন: আব্দুস সালামের তিন ছেলে কামাল (৩২), জামাল (২৭), আনোয়ার (২৫), স্ত্রী সিফাই বেগম (৬২), সাদ্দামের স্ত্রী তাসলিমা (২৫), সাদ্দামের দুই শিশু সন্তান উম্মে হানী (৩), উম্মে হানিফা (৩ মাস), আব্দুল আলীর দুই মেয়ে পারভীন (১৩), তহুরা বেগম (১০) ও স্বপনের স্ত্রী জুয়েনা (২০)।
আহতদের প্রথমে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড কসমেটিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করা হয়। সকাল ১১টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিফাই বেগমের মৃত্যু হয়। বর্তমানে সেখানে ৭ জন চিকিৎসাধীন আছেন। যাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *