সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / একজন জনদরদী উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াছির মিয়া

একজন জনদরদী উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াছির মিয়া

টিটু দাস : শনিবার ভরদুপুর। গাড়ি থেকে খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ নামিয়ে হেটে যাচ্ছেন কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইলহাম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইয়াছির মিয়া। এ সময় দেখা যায় মেরাতলি গ্রামের রিকশাচালক রতন মিয়ার টিনশেড ঘরের জানালা দিয়ে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন তিনি।

শুধু রতন মিয়া নয়। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যখন সারা বিশ্ব আতঙ্কিত। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তখন খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন সহায়তা নিয়ে ঘরবন্দি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন মো. ইয়াছির মিয়া। এছাড়া কুলিয়ারচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ঘরবন্দি মানুষদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি গঠন করেছেন ৫১ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম। স্বেচ্ছাসেবক টিমে যারা কাজ করছেন সবাই দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র।


তিনি শুধু খাদ্য সামগ্রী নয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরবিচ্ছন সেবা প্রদান করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিপিই দিয়েছেন। এছাড়া উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কুলিয়ারচর থানা পুলিশদের পিপিই দিয়েছেন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় গিয়ে দেখা যায়, একদল যুবক। সবার পড়নে পিপিই, মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস। ওদের সবাই খাদ্য সামগ্রী ছোট ছোট ব্যাগে ডুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। খাদ্য সামগ্রী ব্যাগে ডুকিয়ে আবার ওরাই গাড়ি তুলে প্রত্যন্ত গ্রামের ঘরবন্দি মানুষদের জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছেন এবং বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল ৫ কেজি, আটা ১ কেজি, ডাল ১ কেজি, আলু ১ কেজি, পেয়াজ ১ কেজি, লবণ ১ কেজি ও তেল ৫০০ গ্রাম।


স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘরবন্দি মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থ্যা করেছে। এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্ররা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছি এবং বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।

এদিকে রিকশাচালক রতন মিয়া জানান, আমি রিকশা চালিয়ে যা ইনকাম হয় তাই দিয়ে পরিবার চলে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে ৫ দিন ধরে রিকশা চালাইতে পারি না। আজ চেয়ারম্যান সাহেব আমার বাড়িতে এসে খাবার দিয়ে গেছে তাতে আমি অনেক খুশি ।

কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ ওমর খসরু বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছির মিয়ার ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০৩ টি পিপিই দিয়েছে এবং এসব পিপিই পেয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কোয়ারেন্টাই থাকা রোগীদের মনিটর করতে পারছেন।

কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের ও ইলহাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইয়াছির মিয়া জানান, আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও পুলিশদের মাঝে ৫শ পিপিই দিয়েছি। এছাড়া আপাতত ৫ হাজার বস্তা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছি এবং ধাপে ধাপে আরো বিতরণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *