সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / কারাবন্দি বাবার জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার পথে লাশ হলো কিশোর

কারাবন্দি বাবার জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার পথে লাশ হলো কিশোর

নিজস্ব সংবাদদাতা : একটি মারামারি মামলায় বাবা এক মাস ধরে কারাগারে। বাবাকে মুক্ত করার জন্য মিঠামইন থেকে মায়ের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ সদরে এসে বাসা ভাড়া নেয় কিশোর মুন্না (১৩)। মাকে নিয়ে কারাগার-কোর্ট ঘুরে অবশেষে জামিনের ব্যবস্থা করা হয়। রোববার সকালে বাবাকে জামিন শুনানির জন্য কারাগার থেকে আদালতে নেয়া হয়। এতে আনন্দে আত্মহারা কিশোর মুন্না। কোর্ট হাজতে থাকা বাবার জন্য খাবার নিয়ে সাইকেলে যাচ্ছিল সে। তবে বাবার কাছে পৌঁছার আগেই লাশ হতে হলো তাকে। কোর্ট থেকে জামিন পেয়েই বাবা জানলেন তার প্রিয় সন্তান আর নেই।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের বড়পুল এলাকায় সাইকেল আরোহী মুন্নাকে পেছন থেকে চাপা দেয় যাত্রীবাহী একটি বাস। মুহূর্তেই নিভে যায় পরিবারের স্বপ্ন। কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালের বারান্দায় ছেলের মরদেহ ঘিরে বুক চাপড়ে রোদন করছিলেন মুন্নার মা নূর জাহান। তার আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

নিহত মুন্না মিঠামইন উপজেলার ঢাকি বড়কান্দা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবপুরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত।

কটিয়াদী হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (আইসি) জহিরুল ইসলাম জানান, ছেলেটির বাবা একটি মামলায় কিশোরগঞ্জ কারাগারে। আজ আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন হয়। খরব পেয়ে মুন্না তার বাবার জন্য খাবার নিয়ে লতিবপুর থেকে সাইকেলে কিশোরগঞ্জ আদালতে যাচ্ছিল। শহরের বড়পুল এলাকায় অনন্যা পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, পুলিশ বাসটি আটক করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *