সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / দায়িত্বে অবহেলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না : রাষ্ট্রপতি

দায়িত্বে অবহেলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না : রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাত দিনের কিশোরগঞ্জ সফরের পঞ্চম দিনে আজ হাওর উপজেলা ইটনা সফর করেছেন।  সেখানে বিকেলে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে বলেন, আগে হাওর এলাকায় কোনো সুযোগ-সুবিধা ছিল না।  এখন সেখানে সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে, অনেক উন্নয়ন হয়েছে।  কাজেই হাওরবাসীকে এলাকায় থেকে সেবা দিতে হবে। দায়িত্বে অবহেলা কোনাভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ মাঠে ইটনা নাগরিক কমিটি আয়োজিত সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।

রাষ্ট্রপ্রধান জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় না থাকার সমালোচনা করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, চেয়ারম্যান ও এমপিরা পর্যন্ত এলাকায় থাকেন না, তারা জেলা শহর কিংবা রাজধানীতে থাকেন। এলাকার মানুষ প্রয়োজনে জনপ্রতিনধিদের পাশে পায় না। এভাবে চলতে পারে না। যারা এলাকায় থাকতে পারেন না, তাদের ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি না হওয়া উচিত।

নিজ এলাকার লোকজনের প্রতি হাওরের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে আরও সচেতন ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, এক সময়ের অবহেলিত হাওর আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। আমি দিনরাত হাওরের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এ উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে যোগ্য লোক দরকার। শিক্ষা ছাড়া যোগ্য ও মেধাবী প্রজন্ম সম্ভব নয়। আমি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছি। কিন্তু মানসম্পন্ন শিক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। হাওরের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। হাওরকে আমি শহরের মতো সাজাতে চাই।

সুধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আজিজুল হক, ইটনা উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ইসলাম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য বজলুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক ও রায়টুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়সাল কবির। এ সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ ও ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিজা আক্তার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

আবদুল হামিদ হাওর এলাকা নিয়ে তাঁর স্বপ্ন ও পরিকল্পনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, হাওরকে আমি অনেক দূরে নিয়ে যেতে চাই। এখানে সবগুলো উপজেলায় রেসিডেনসিয়াল স্কুল, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, মাছ গবেষণা ইনস্টিটিউট, ফ্লাইওভার করে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই। এজন্য সহযোগিতা প্রয়োজন। হাওর যেন দেশের উন্নতিতে জোরালো ভূমিকা রাখাতে পারে সেই হাওরের স্বপ্ন আমি দেখি।

এর আগে রাষ্ট্রপতি বাদলা ইউনিয়নে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু ও  রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজের রাশিদা খানম ছাত্রী নিবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

আগামীকাল রাষ্ট্রপতি আরেক হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম সফরে যাবেন। সেখানে একটি সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড ঘুরে দেখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *