সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / দপ্তরি যখন শিক্ষক

দপ্তরি যখন শিক্ষক

নিজস্ব সংবাদদাতা : রোববার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টা। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ৫৪ নম্বর মাতুয়ারকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অস্থায়ী একটি টিন শেডের দুটি কক্ষে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় শ্রেণির ক্লাসে শিশুদের পাঠদান করছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুনা আক্তার আর চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসে বিদ্যালয়ের দপ্তরি আবদুর রাশিদ মিয়া। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকটের কারণে মাধ্যমিক ফেল দপ্তরি দিয়েই শিশুদের পাঠদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদ্যালয়টিতে গত প্রায় চার বছর ধরে শিক্ষকের ৫ পদের মধ্যে ৩টিই শূন্য রয়েছে। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শূণ্য হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান ২০১৭ সালের ১৭ জুন এবং সহকারী শিক্ষক আবদুর রশিদ ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যান। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুনা আক্তার এবং সহকারী শিক্ষক তামান্না আক্তার বিদ্যালয়টিতে কর্মরত আছেন।

গত শনিবার বিদ্যালয়টিতে পশ্চিম জগৎচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এমদাদুল ইসলাম এবং বড়চারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিদারুল আলম ডেপুটেশনে যোগদান করেন। কিন্তু বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুনা আক্তার বলেন, সহকারী শিক্ষক তামান্না আক্তার এবং নতুন যোগদানকৃত শিক্ষক এমদাদুল ইসলাম প্রাথমিক সমাপনী নির্বাচনী পরীক্ষার ডিউটিতে আছেন। অপরজন প্রথম শিফটের ক্লাস শেষে ব্যাংকে গেছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে তাই দপ্তরিকেই মাঝে মধ্যে ক্লাস নেওয়ার দায়িত্ব দেন তিনি।

বিদ্যালয়ের দপ্তরি আবদুর রাশিদ মিয়া বলেন, তিনি এসএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে ফেল করেছিলেন। দপ্তরি হিসেবে নিয়োগের পর শিক্ষার্থীদের সামলাতে প্রায় সময়ই তিনি ক্লাস নেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কুলিয়ারচর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়েরের দায়সারা জবাব, প্রাথমিক সমাপনী নির্বাচনী পরীক্ষা শেষ হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *