সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / হাওরাঞ্চল / কিশোরগঞ্জ / প্রাইভেটকারে এএসপি টোল প্লাজার কর্মচারীদের মারধর

প্রাইভেটকারে এএসপি টোল প্লাজার কর্মচারীদের মারধর

ভৈরব প্রতিনিধি: রাত তখন ১১ টা ৫৬ মিনিট। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর টোলপ্লাজা পাড় হচ্ছিল একটি প্রাইভেটকার। প্রাইভেটকারের ভেতরে কয়েকজনের সাথে বসা ছিল ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম। প্রাইভেটকারটি টোল না দিয়ে চলে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় টোল প্লাজার কর্মচারীরা বিনা টোলে না যেতে দিলে প্রাইভেটকার থেকে বের হয়ে কয়েকজন কর্মচারীদের মারধর করে। এসব সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, শনিবার রাতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর টোল প্লাজার ভৈরব প্রান্তে দিয়ে ওপারে যাওয়া সাদা রঙ্গের প্রাইভেটকারের মালিক ফারহান নামে এক যুবক। সে শহরের চন্ডিবের গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে। ওই সময় প্রাইভেটকারের মালিক ফারহান ও ভৈরব সার্কেল কামরুল ইসলাম সহ কয়েকজন বসা ছিল। তখন তারা ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপির নাম ভাঙ্গায় এবং গাড়িতে পুলিশের এএসপি বসে থাকার কথা বলে টোল না দিয়ে যতে চাইলে ১নং কাউন্টারে কর্তব্যরত টোল আদায়কারী আলী আহাম্মদ বিনা টোলে যেতে না দেয়ায় গাড়ির ভিতর থেকে ভৈরব সার্কেল এএসপি, গাড়ির মালিকসহ কয়েকজন এবং পিছনে মটরসাইকেলে থাকা কিছু যুবক এসে দায়িত্বরত কর্মচারীর উপর চড়াও হয়ে মারধর করতে থাকে। এসময় পিছনে পুলিশের একটি পিকাপও ছিল। ওই গাড়িটি ভৈরব সার্কেল অফিসের বলে জানা গেছে। গাড়িতে থাকা যুবকরা মদ্যপায়ী অবস্থায় ছিল বলেও অভিযোগ করা হয়। ঘটনার পুরো ভিডিও সিসি টিভির ফুটেজে রয়েছে বলেও অভিযোগকারীরা জানালে স্থানীয় সাংবাদিকরা নাটাল টোল প্লাজায় সিসি টিভিতে থাকা ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করেন রাখেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিযুক্ত ভৈরব সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার এএইচএম কামরুল ইসলামের বক্তব্য নিতে ভৈরব সার্কেল অফিসে যাওয়ার পর ক্যামেরার সামনে তিনি কোন ধরণের বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এ বিষয়ে প্রাইভেটকারের মালিক ফারহানের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *