রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শহরের চন্ডিবের এলাকায় পৌর কর্তৃপক্ষ জিয়া তোরণ উচ্ছেদ শুরু করলে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা নির্মাণ শ্রমিকদেরকে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক তার কর্মীদেরকে নিয়ে পৌরসভার ঠিকাদারের শ্রমিকদেরকে তোরণ ভাংচুর থেকে বিরত রাখে। এসময় বিএনপি’র কর্মীরা শহরে ভৈরব পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছের বিরুদ্ধে অশালীন কথা শ্লোগান দিয়ে মিছিল করে। পরে তারা ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কাজী ফয়সলকে মৌখিভাবে অবহিত করে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১১ টায় ঘটনাটি ঘটেছে । তাদের বাধার কারনে তোরণ উচ্ছেদ ভাংচুর আজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে জনস্বার্থে শহরের রাস্তা প্রশস্থ করার জন্য তোরণটি ভেংগে ফেলতে হবে। এই তোরণটি কোন হিংসা – বিদ্ধেষে ভাংগা হচ্ছেনা। তোরণটি এমন জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে যাহা ভাংগা ছাড়া কোন উপায় নেই। অপরদিকে বিএনপির নেতারা বলছে রেলওয়ে ভূমিতে তোরণটি তৎকালীন আমলে জিয়ার স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মান করা হয়েছিল।
জানা গেছে , বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিগত ২০০৬ সালে ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকায় কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছিল। সময়ের প্রয়োজনে পৌর এলাকায় জনসংখ্যা ও যানবাহন বৃদ্ধির কারনে রাস্তা প্রশস্থ করার প্রয়োজন দেখা দিলে তোরণটি উচ্ছেদ করে ভাংগার উদ্যোগ গ্রহন করে পৌর মেয়র। উল্লেখ্য এই চন্ডিবের এলাকায় পৌর কর্তৃপক্ষ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৬ কোটি টাকার প্রকল্পে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে ।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক জানান, জিয়া তোরণ স্থানটি রেলওয়ের ভূমি এবং তোরণটি তৎকালীন আমলে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছিল। কাজেই পৌর কর্তৃপক্ষের ভূমিতে বা তাদের অর্থায়নে তোরণটি যেহেতু নির্মাণ হয়নি তারা তোরণটি উচ্ছেদ করতে পারেন না। তিনি বলেন পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা বলেই জিয়ার নাম মুছে ফেলতে তোরণটি উচ্ছেদ করতে উদ্যেগ নিয়েছে। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ যদি তোরণটি পূনরায় অন্যস্থানে নতুন করে নির্মাণ করে দেন তাহলে আমরা বাধা দিব না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ বলেন , শহরের রাস্তা প্রশস্থ করার কাজ করতে গিয়ে উত্তর সাইডে ড্রেন নির্মাণ করতে হলে জিয়া তোরণ ভাঙ্গা ছাড়া আর কোন উপায় নেই ।কারো প্রতি হিংসা করে তোরণটি উচ্ছেদ করছি না, সময়ের প্রয়োজনে জনগণের স্বার্থে রাস্তা প্রশস্থ করতে তোরণটি ভাঙ্গা হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, ভৈরব শহরের উন্নয়ন ও রাস্তা প্রশস্থ করার প্রয়োজনে আমি অনেক আগে পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু তোরণ ও সোহরাওয়ার্দী তোরণ ভেঙ্গে ফেলেছি কিন্তু এই দুটি তোরণ পুনরায় নির্মাণ করা হয়নি। কাজেই বিএনপির দাবীটি অযৌক্তিক।