সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা জেলার বিশারদপুর গ্রামের তেরাব আলী হত্যা মামলায় আব্দুল আজিজ একজনের মৃত্যু দন্ড ও এক জনের ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বিকেলে এ মামলার শুনানি শেষে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ এ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন।
ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত হয়েছেন এ মামলার প্রথম আসামী আব্দুল আজিজ এবং দুই বছরের কারাদন্ড হয়েছে তার আপন ভাই অপর আসামী আব্দুল জাহির বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের তেরাব আলীর বাড়িতে হামলা চালায় আব্দুল আজিজ তার ভাই সহ একদল সন্ত্রাসী।
তেরাব আলীর ঘরের দরজা কুড়াল দিয়ে ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে সবাই। পড়ে তার স্বজনরা তাকে বাঁচানো আপ্রান চেষ্ঠা করে। কারো কথা না শুনে তারা তেরাব আলীর চোখে এলোপাতাড়ি ভাবেগুলি করে। পড়ে তিনি সাথে সাথে মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনা পর তেরাব আলীর শ্বাসুরি খোদাজা বিবি বাদি হয়ে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
আদালতে দীর্ঘ দিন শুনানী শেষে স্বাক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
এ ছাড়াও এই মামলায় পাঁচ জন আসামী বেকসুর খালাস পেয়েছেন তারা হলেন, বিশারদপুর গ্রামের মফিজ আলীর ছেলে ইলিয়াস আলী ও মজিবুর রহমান, ওয়ারিদ উল্লাহর ছেলে আয়ান মিয়া, বঞ্চনপুর গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে মো.সিরাজ মিয়া, ময়মনসিংহের মদনপুর থানার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মৃত আয়ান মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন।
এ মামলার বাদি ছিলেন নিহত তেরাব আলীর তেরাব আলীর শ্বাসুরি খোদাজা বিবি।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবীবি হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট মানিক লাল দে। বাদি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাভোকেট সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম।
রাষ্ট পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাভোকেট খাইরুল কবির রুমেন পিপি তিনি বাংলানিউজকে জানান, এক জন আসামীর ফাঁসি হয়েছে এবং এক জনের দুই বছরের কারাদন্ড হয়েছে। এতে করি আমরা রাষ্ট পক্ষ সন্তুষ্ট হয়েছি। আমরা মনে করি এখানে বাদি পক্ষ ন্যায় বিচার পয়েছেন।